সম্পূর্ণ অচেনা একটা নারী ও একটি পুরুষ যখন পরস্পরকে দেখে, তখন তাদের মনে দুই ধরণের চিন্তা কাজ করে।
➤ পুরুষ চিন্তা করে সৌন্দর্য
➤ নারী চিন্তা করে বিপদ
পুরুষ কেন সৌন্দর্য চিন্তা করে, সে ব্যাপারে কোন ব্যখ্যা দরকার নেই। তবে নারী কেন বিপদ চিন্তা করে, সেটার সামান্য ব্যখ্যা দরকার।
মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় বিপদ হলো মৃত্যু। নারীদের জন্য এর চেয়ে একটু ছোট বিপদ হলো – ইজ্জত হারানো। নারীর ইজ্জত হরণ করার মতন অস্ত্র (!) সকল পুরুষের সাথেই থাকে। তাছাড়া পুরুষ শারীরিকভাবে বেশী শক্তিশালী। এ কারণেই নারীরা পুরুষকে বিপজ্জনক মনে করে, পুরুষকে ভয় করে।
এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন প্রসঙ্গ। আপনি সুপারম্যান এর সাথে মারামারি করছেন। ছুরি দিয়ে আঘাত করলেন, কিছু হয় না। বন্দুক দিয়ে গুলি করলেন, কিছু হয় না। কামান, মেশিন গান, মিসাইল, সবই চেষ্টা করলেন । কোন কিছুই সুপারম্যানকে আহত করতে পারে না।
অবশেষে আপনি পারমাণবিক বোমা হামলা করলেন। অবাক ব্যাপার, তাতেও সুপারম্যান আহত হলো না। এবার আপনি চিন্তা করুন, সেই সুপারম্যান আপনার কাছে কতটা ভয়ঙ্কর। সবচেয়ে বড় অস্ত্র পারমাণবিক বোমাতেও সে আহত হয় না। আপনি তার কাছে দুর্বল। আপনি সেই সুপারম্যানকে ভয় করেন।
এবার মূল প্রসঙ্গে আসি। নারীরা যে কারণে পুরুষকে সবচেয়ে বেশী ভয়ে করে, সেটা হলো ইজ্জত হারানোর ভয়। মজার ব্যাপার, স্বামীর কাছে তো ইজ্জত হারানোর ভয় থাকে না। অর্থাৎ, নারী জাতিকে বিপদে ফেলার জন্য পুরুষের সবচেয়ে শক্তিশালী যে অস্ত্র আছে, সেটা নিজের স্ত্রীর উপরে কাজ করে না।
সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র যাকে কাবু করতে পারেনা, সে খুবই ভয়ঙ্কর। এজন্যই সবাই স্ত্রীকে এত ভয় করে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।